সচরাচর জিজ্ঞাসা
রক্তদানের প্রথম এবং প্রধান কারণ: একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত 'বোন ম্যারো' নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
রক্তদানের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। রক্তদান করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং দান করার দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্ত কণিকা জন্ম হয়ে এ ঘাটতি পূরণ করে। বছরে তিনবার রক্তদান রক্তদাতার লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে আয়রণের ভারসাম্য বজায় থাকে। দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। তবে বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বছরে নয় থেকে দশ লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগের বেশি। এছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশিরভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখ পড়ে। এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। এই অল্প সময়ে চাইলেই একজনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
রক্তরস দান করা শরীরের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে: এটি স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, খারাপ কোলেস্টেরলের রক্ত পরিষ্কার করে, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক করে এবং মৌসুমী অ্যালার্জি কমিয়ে দেয়।
বিরল রোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার অনেক লোকের জন্য, রক্তরস-ভিত্তিক থেরাপিই তাদের অবস্থা বা রোগের চিকিৎসার একমাত্র উপায়। রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করার জন্য এবং তাদের রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ট্রমা রোগীদের এবং পোড়া রোগীদের প্লাজমা দেওয়া হয়, যা শক প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা করতে পারে।
সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল সুচের জায়গায় ঘা । একটি কম সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল রক্তদানের কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল সূঁচের কাঠি থেকে সম্ভাব্য স্নায়ু এবং রক্তনালীতে আঘাত।
👉হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম (পুরুষদের ন্যূনতম ১২ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীদের ন্যূনতম ১১ গ্রাম/ডেসিলিটার হতে হবে) থাকলে। 👉 রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক না থাকলে রক্ত দেওয়া ওই মুহূর্তে উচিত নয়। 👉শ্বাস–প্রশ্বাসজনিত রোগ, যেমন হাঁপানি বা অ্যাজমা। 👉রক্তবাহিত রোগ যেমন, হেপাটাইটিস বি বা সি, জন্ডিস, এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি থাকলে রক্ত দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া টাইফয়েড, ডায়াবেটিস, চর্মরোগ, বাতজ্বর, হৃদ্রোগ থাকলেও রক্ত দেওয়া উচিত নয়। 👉 নারীদের মধ্যে যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা ও যাঁদের ঋতুস্রাব চলছে তাঁরা রক্ত দেবেন না, সন্তান জন্মদানের এক বছরের মধ্যেও না। 👉 যাঁরা কিছু ওষুধ সেবন করছেন, যেমন, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি তাঁরা সে সময় রক্ত দেবেন না। 👉 যাঁদের বিগত ৬ মাসের মধ্যে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা রক্ত দেবেন না।
এইডস, হার্টের রোগ, হাইপারটেনশন, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ ও ডায়াবিটিস থাকলে রক্ত দেওয়া নিষেধ। যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাদেরও। হিমোগ্লোবিন যদি ১২ দশমিক ৫-এর নীচে হয়, তাহলে রক্ত দেওয়া যাবে না। পালস রেট যদি ৫০-এর কম ও ১০০-এর বেশি হয়, তাহলেও রক্ত নেওয়া হয় না।
রক্তদান করলে শুধু অন্যজনের উপকার হয় না, আপনি নিজেও উপকার পাবেন। প্রথম হলো মানসিক শান্তি। আপনার রক্তে জীবন ফিরে পেয়েছেন কেউ- ভাবুন এটা কতোটা পরোপকারী কাজ। তাই অনেকেই রক্তদানে উৎসাহী। কিন্তু যখন-তখন সময়ে একজন মানুষ রক্ত দিতে পারে না। রক্ত দেওয়ার আগে কিছু বিষয় রয়েছে যা মানতে হয়। সুস্থ, সবল, নিরোগ একজন মানুষ প্রতি চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তদানের ফলে রক্তদাতার শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। রক্তের লোহিত কণিকার আয়ু ১২০ দিন। অর্থাৎ আপনি রক্ত দিন বা না দিন ১২০ দিন পর লোহিত কণিকা আপনা আপনিই মরে যায়। সেখানে জায়গা করে নেয় নতুন লোহিত কণিকা। রক্তের আর উপাদানগুলোর আয়ুষ্কাল আরও কম। দেহের মোট ওজনের অাট ভাগই রক্ত। আর রক্তের ৫৫ ভাগই হলো রক্তরস বা প্লাজমা, যার ৯০ ভাগই আসলে পানি। সুতরাং আপনি যে রক্ত দেন তার ওজন এক পাইন্টের কম হলেও আসলে এর অর্ধেকটাই পানি। এজন্যেই রক্ত দেয়ার আগে এবং পরে চিকিৎসকেরা পর্যাপ্ত পানি খেতে বলেন (অন্তত ৫০০ মিলিলিটার)। তাহলেই রক্ত দেয়ার পর ক্ষয়টা দ্রুত পুষিয়ে যায়। প্রোটিন ও শর্করাজাতীয় খাবার : বেশ পরিমাণ প্রোটিন এবং শর্করা আছে এমন খাবার ও পানীয় খেতে পারেন। যেমন, জুস বা শরবত। অধিকাংশ ল্যাবে রক্তদানের পরপরই আমরা ডোনারদের গ্লুকোজ দিয়ে থাকে। এটা খুবই উপযোগী। ধূমপান ও মদ্যপান : রক্তদানের পরপরই ধূমপান ও মদ্যপান করবেন না। ব্যায়াম ও শারীরিক কসরত : রক্তদানের পরপরই যেকোনো ধরনের ব্যায়াম যেমন, জিমন্যাসিয়াম এবং নাচ বা দৌঁড়ের মতো শারীরিক কসরতের কাজ করবেন না। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে : রক্তদানের পর কাউকে কাউকে অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখা যায়। এটা হয় সাধারণত লো ব্লাড প্রেশারের কারণে। ঘাড়ের ধমনীতে ব্যারোরিসিপটর নামে বিশেষ একধরনের নার্ভসেলের কারণে রক্ত দেয়ার পর পরই দেহে খবর হয়ে যায় যে, রক্তচাপ কমে গেছে। এই শূন্যতা পূরণের জন্যে রক্তকণিকাগুলো তখন সংকুচিত হয় এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। আর রক্ত দেয়ার পর পরই কেউ যদি দ্রুত উঠে যান বা হাঁটতে শুরু করেন, তখন আকস্মিক রক্তচাপ নেমে যাওয়ার ফলে কারো কারো শরীরটাকে হালকা মনে হতে পারে, অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি। এটাকে এড়ানোর জন্যে যা করতে পারেন তাহলো, রক্ত দেয়ার পর পরই না উঠে কিছুক্ষণ সটান হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, এসময় মাথার নিচে যেন কোনো বালিশ বা উঁচু কিছু না থাকে। কারণ মাথাটাকে রাখতে হবে হার্টের লেভেলে, যাতে হার্ট থেকে ব্রেনে পর্যাপ্ত রক্ত যেতে পারে। আর নামার আগে কিছুক্ষণ পা ঝুলিয়ে বিছানায় বসে থাকতে পারেন। আর তারপরও যদি আপনার কোনো অসুবিধা হয়, সেটা দেখার জন্যে আমাদের রয়েছেন উপস্থিত চিকিৎসকগণ। অপেক্ষা কেন? একবার রক্ত দেয়ার পর পরবর্তী চার মাস পর আপনি আবার রক্ত দিতে পারবেন। এ সময়ের মধ্যে সাধারণত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আগের অবস্থায় ফিরে যায়। প্রশ্ন হলো, কেন এ সময়টা লাগে? আসলে শ্বেতকণিকা বা অনুচক্রিকার ক্ষয়টা পূরণ হয়ে গেলেও লোহিতকণিকার ক্ষয় পূরণ হতে কিছুটা সময় লাগে। আর লোহিত কণিকার সাথে সুস্থতার একটা সম্পর্ক আছে। কারণ লোহিত কণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন অণু, যার প্রধান কাজই হলো সারাদেহে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যাওয়া। আর হিমোগ্লোবিনে থাকে আয়রন, রক্ত দেয়ার সময় যা কিছুটা হারায়। এটা পূরণ করার জন্যে তখন একদিকে দেহের লৌহভাণ্ডার বেশি বেশি ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে খাবার এবং পানীয় থেকে তৈরি হতে থাকে বেশি বেশি আয়রন। কখন রক্তদান করা যাবে না- ১. এইচআইভি, হাইপারটেনশন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, মৃগীরোগ বা হেপাটাইটিস থাকলে। ২. ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর না হওয়া পর্যন্ত রক্ত দেয়া যাবে না। কারণ এক বছর পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার জীবাণু শরীরে থাকতে পারে। ৩. আপনার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পর্যাপ্ত না থাকলেও সাময়িক সময়ের জন্যে আপনাকে রক্তদানে বিরত থাকতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা ১২.৫ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা ১৩। ৪. আকুপাংচার, কান ফুটো বা ট্যাটু করাবার সাথে সাথেই রক্তদান করা যাবে না। তাছাড়া সে সুঁই দিয়ে করা হয়েছে, তা জীবাণুমুক্ত ছিল কি না- এটা যদি নিশ্চিত জানা না থাকে তাহলে একবছর অপেক্ষা করতে হবে। ৫. ফ্লুতে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ৬. গর্ভবতী এবং সদ্য প্রসব করেছেন এমন মায়েরাও রক্তদান করতে পারবেন না। ৭. ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না। তবে অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ তার সর্বশেষ সার্জারি, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের পাঁচ বছর অতিক্রম হওয়ার পর রক্তদান করতে পারবেন। ৮. রক্তদানের ২৪ ঘণ্টার পূর্বে যদি কেউ মদ্যপান করে। ৯. নিজের দেহে রক্ত নিলে অন্তত একবছর অপেক্ষা করতে হবে। ১০. বিদেশে গেলে ফিরে আসার পর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ১১. দাঁত বা মুখের কোনো অপারেশন হলে অপেক্ষা করতে হবে। ১২. ধূমপান করার চার ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না। ১৩. বড় কোনো সার্জারি হয়ে থাকলে কমপক্ষে ৬ মাস এবং ছোট সার্জারি হলে কমপক্ষে ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। ১৪. এন্ডোস্কোপি করাবার পর কমপক্ষে চার মাস পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
রক্তরস দান করা শরীরের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে: এটি স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, খারাপ কোলেস্টেরলের রক্ত পরিষ্কার করে, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক করে এবং মৌসুমী অ্যালার্জি কমিয়ে দেয়।
প্লাজমা বা রক্তরস হলো রক্তের ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের স্বচ্ছ তরল অংশ। এতে ৯১% থেকে ৯২% পানি এবং ৮% থেকে ৯% কঠিন বস্তু থাকে। কঠিন বস্তুর মধ্যে জৈব ও অজৈব উভয় ধরনের পদার্থই বিদ্যমান। স্বাভাবিক রক্তরস আয়তন হলো দৈহিক ওজনের ৫%, অথবা ৭০ কেজি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫০০ মি.
১) নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ২) বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়। ৩) রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ৪) রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৫) শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোনো রোগ আছে কি-না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়। ৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ৭) শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ৮) এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও 👉👉মানসিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন। 👉 যাদের ওজন ৫০ কেজি বা তার বেশি (কখনো সর্বনিম্ন ওজন ৪৫ কেজিও ধরা হয়)। 👉কোনো ব্যক্তি একবার রক্ত দেওয়ার ৪ মাস পর আবার রক্ত দিতে পারবেন।
একজন সুস্থ, সবল মানুষ চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারবেন। নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ছয় মাস পর রক্ত দিতে বলা হয়।